এসময় ডেস্কঃ
অবশেষে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেল। তাঁর নাম বৃষ্টি খাতুনই। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তাঁরটি শতভাগ মিলেছে। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে এই দম্পতিরই সন্তান বৃষ্টি।
আজ রোববার রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,আমরা বাবার পর মায়েরও ডিএনএ নিয়েছিলাম। দুজনের সঙ্গে শতভাগ ডিএনএ মিলেছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদনটি আমরা থানা-পুলিশকে হস্তান্তর করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ছিলেন বৃষ্টি। বৃষ্টি তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামেই পরিচিত ছিলেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং অভিশ্রুতি নামে পরিচয় দেওয়ার কারণে তাঁর লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর রমনা কালিমন্দিরের সভাপতি উৎপল সরকার ও কুষ্টিয়া থেকে এসে তাঁর বাবা–মা মরদেহ দাবি করলে, পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল জানা গেল।
রমনা কালিমন্দিরের সভাপতি উৎপল সরকার বলেছেন,তাঁর বাবা–মায়ের সঙ্গে ডিএনএ মিললে, তাঁরা মরদেহ নিলে, আমাদের আর কোনো দাবি নেই।
বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। কলেজের সনদে, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। কিছু সনদে আবার অভিশ্রুতি শাস্ত্রীও ছিল।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাজমুল। তাঁর মরদেহ দেখে চেনার উপায় না থাকায় বাবা ও মায়ের ডিএনএ নেওয়া হয়েছিল। তার ডিএনএর সঙ্গেও বাবা–মায়ের ডিএনএ নমুনা শতভাগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন ডিআইজি নাহিদুল।
দুজনের মরদেহ আগামীকাল সোমবার পুলিশ হস্তান্তর করতে পারে বলে জানা গেছে। ডিএমপির পুলিশের রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার আখতারুজ্জামান জানান, পরবর্তী সিদ্ধান্ত ডিএনএ প্রতিবেদন অনুযায়ী নেওয়া হবে।