তানোর ( রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ রাজশাহীর তানোর ডিজিটাল পোস্ট অফিস থেকে গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহখানেক সময় ধরে গ্রাহকরা তাঁদের সঞ্চয়ের টাকা তুলতে পারছেন না—এমন খবর পেয়ে রবিবার রাজশাহীর ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা তদন্তে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তানোর ডিজিটাল পোস্ট অফিস পোস্ট মাস্টার মকছেদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় রাজশাহীর ডাক বিভাগের পরিদর্শক মজিবুর রহমান বাদী হয়ে তানোর পোস্ট মাস্টার মকছেদ আলীকে অভিযুক্ত করে তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
তানোর ডিজিটাল পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকালে রাজশাহী ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি তদন্তদল তানোর পোস্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে গ্রাহকদের কাগজপত্র দেখা শুরু করে। এ সময় গ্রাহকরা পোস্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে অফিসের মধ্যে হৈচৈ শুরু করেন। এক পর্যায়ে ডেপুটি জেনারেল কর্মকর্তা গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সূত্র আরো জানায়, তদন্তদল টাকা গায়েবের প্রমাণ পেলেও তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু গোপন রাখছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল পর্যন্ত গ্রাহকদের দেওয়া তথ্য মতে, সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকার বেশি টাকা লোপাটের প্রমাণ পেয়েছেন কর্মকর্তারা। গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। এতে বলা হয়, গ্রাহকরা যেন তাঁদের নিজ নিজ পাস বই পোস্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে মিলিয়ে নেন। তবে টাকার অঙ্ক আরো বাড়বে বলে ধারণা করছে তদন্ত কমিটি।
এ ব্যাপারে রাজশাহী ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তানোর ডিজিটাল পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মকছেদ আলীকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁকে আগেই অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। তিনি আরো বলেন, আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা নেওয়ার ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। এ পর্যন্ত ৫০ লাখ টাকা লোপাটের প্রমাণ মিলেছে।
তিনি আরো বলেন, তানোর পোস্ট অফিসে প্রায় ২২০ জন গ্রাহক আছেন। অনেক গ্রাহক বিষয়টি জানেন না। সে জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। অন্য গ্রাহকরা এলে আরো বেশি টাকার অঙ্ক বাড়বে বলে আমরা ধারণা করছি। এ বিষয়ে তানোর থানায় জিডি করা হয়েছে।