নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল মালেক মন্ডলের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও ঘুষসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চলতি মাসের ১১ মার্চ কারণ দর্শানোর নোটিশের পর গত ২১ মার্চ সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজের গভনিং বডির সভাপতি দীলিপ কুমার সরকার।
সভাপতি স্বাক্ষরিত মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষকে পাঠানো সাময়িক বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ্য করা হয়েছে, বেতন স্কেল পরিবর্তনের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে ৪৮ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। কলেজ সরকারি করার অজুহাতে শিক্ষকদের নিকট হতে ৫৭ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। বিগত ১০ বছর ধরে অধ্যক্ষ গভনিং বডিকে কোন প্রকার হিসাব না দিয়ে প্রায় দুই কোটি আত্মসাৎ করেছেন। তিনি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান না করে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও সেলিম আহম্মেদ নামের একজন প্রভাষক দীর্ঘ ২০ বছর চাকুরী করার পর মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পর প্রভাষ সেলিম আহম্মেদ এর স্ত্রী গ্রাচ্যুইটিসহ অবসর জনিত টাকা উত্তোলন করতে চাইলে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক মন্ডল ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। উক্ত ঘুষের টাকা দিতে না চাইলে প্রভাষক সেলিম আহম্মেদের নিয়োগ অবৈধ বলে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমের জবাব দেন।
অথচ জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি অন্যান্য শিক্ষকের মত প্রতি মাসে বেতন উত্তোলন করেছিলেন। তৃতীয় শিক্ষকের বেতন ভাতা বিষয়ে মহাপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষায় ১০ জন শিক্ষকের বেতন প্রদানের থাকলেও ৯ জন শিক্ষকের বেতন ভাতার কাগজপত্র ক্রটিপূর্ণ দেখিয়ে প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ ৫০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক মন্ডল বিগত ১০ বছর কলেজের আয় ও ব্যয়ের নিরিক্ষা কমিটি ছাড়াই দুই কোটি কাজ নিজের ইচ্ছামত করেছেন। এসকল অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছে মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল মালেক মন্ডলের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন কলেজে গিয়ে ও ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে দেখিয়ে কথা না বলায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অধ্যক্ষকে বরখাস্তের বিষয়ে মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজের গভনিং বডির কমিটির সভাপতি দীলিপ কুমার সরকার বলেন, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে ঘুষসহ বিভিন্ন অভিযোগে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক মন্ডলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হযেছে।